Indian judicial system PDF | free download

Advertisements
judiciary system in india

Indian judicial system ( ভারতীয় বিচার বিভাগ) একক সংযুক্ত বিচার ব্যবস্থা । বিচার ব্যবস্থার শীর্ষে সুপ্রিম কোর্ট, তারপর হাইকোর্টগুলি। এবং তার নিচে নিম্নতর আদালতগুলি রয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)

• সংবিধানের পঞ্চম অধ্যায়ে (Part V) 124-147 ধারার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের বিষয়টি আলােচিত হয়েছে।
• ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার শীর্ষে এটি রয়েছে।
• 1950 সালের 28 শে জানুয়ারী সুপ্রিম কোর্টের উদ্ধোধন হয়। প্রাথমিক ভাবে, সুপ্রিম কোর্টের সদস্য সংখ্যা ছিল ৪ (আট)(একজন শীর্ষ বিচারপতি + সাতজন বিচারক)
সুপ্রিম কোর্ট (বিচারকের সংখ্যা) সংশোধনী আইন, 2008 বলবৎকরণের পর সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের সংখ্যা 26 থেকে বেড়ে 31 (30+1) হয়।

বিচারকের যােগ্যতা

• তাঁকে ভারতের নাগরিক হতে হবে।
•তাঁকে কোন হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে অন্তত টানা 5 বছর কাজ করতে হবে, অথবা কোন হাইকোর্টে অ্যাডভােকেট হিসেবে অন্তত টানা 10 বছর কাজ করতে হবে, অথবা রাষ্ট্রপতির মতে তাঁকে একজন বিশিষ্ট আইনজ্ঞ হতে হবে। আদালতে প্র্যাকটিস করছেন না এমন কোন ব্যক্তিত্ব আজ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হননি। বিচারকদের যােগ্যতার শর্ত হিসেবে বয়সের কোন নিম্নসীমা সংবিধানে প্রদত্ত হয়নি। শীর্ষ বিচারপতির বেতন 2.80 লাখ। বিচারপতির বেতন 2.50 লাখ।

সুপ্রিমকোর্টের গুরুত্ব

1. শীর্ষ আইনী আদালত।
2. সংবিধানের চূড়ান্ত ব্যাখ্যা প্রদানকারী (Final interpreter)।
3. পার্লামেন্টে পাশ হওয়া কোন আইনের বৈধতা বিচারের চূড়ান্ত কর্তৃপক্ষ।
4. মৌলিক অধিকারের রক্ষাকর্তা (Guarantor)।
5. সর্বোচ্চ আপিল আদালত।
6. কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে বা রাজ্যগুলির মধ্যে কোন বিবাদ বাধলে তা নিষ্পত্তি করার চূড়ান্ত অধিকার সুপ্রিম কোর্টের রয়েছে।
7. সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের ভারসাম্য (Checks and balance)বজায় রাখে।
8. সংবিধান রক্ষার্থে বিচারবিভাগীয় পর্যালােচনা (Judicial Review) নামক হাতিয়ারটি সুপ্রিম কোর্ট প্রয়ােগ করে থাকে।

বিচারকদের নিযুক্তি

• ধারা 124 2. – ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রত্যেক বিচারকদের নিয়ােগ করেন এবং 65 বছর বয়স পর্যন্ত তাঁরা নিজ পদে আসীন থাকেন।
• বিচারকদের অপসারন ধারা 124 2. কে একবার চ্যালেঞ্জকরা হয়েছিলাে। (1980 এস. পি. গুপ্তা কেসে)।

বিচারকদের অপসারণ

• 124 4. ধারা—বিচারকদের আসনচ্যুত করা যাবে রাষ্ট্রপতির দ্বারা রেসােলিউশনের উপর ভিত্তি করে যেটা পার্লামেন্ট দ্বারা পাশ হয়েছে।
• 124 5. ধারা—বিচারকদের অসদাচারণ (Misbehavior) বা অসামথ্য (Incapacity) প্রমাণ করার পদ্ধতি দশানাের জন্য পার্লামেন্ট আইন প্রণয়ন করতে পারে।
•  Judges Inquiry Act, 1968 দ্বারা বিচারকদের অপসারণের বিষয়টি নিয়ন্ত্রিত হয়।
• এখনও পর্যন্ত কোন বিচারককে অপসারিত করা হয়নি।

সুপ্রিম কোর্টের আসন (Seat of Supreme Court)

130 নং ধারায় দিল্লীকে সুপ্রিম কোর্টের সিটের স্বীকৃতি দেওয়াহয়েছে। এছাড়াও সংবিধানে অন্য যে কোন স্থানকে এই স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষমতা শীর্ষ বিচারপতিকে দেওয়া হয়েছে।

আদালতের অবমাননা (Contempt of Court)

•যে ধরনের কাজগুলি আদালতের সাধারণ বিচারবিভাগীয় কার্যাবলীর পরিচালনায় বাধা দেয় বা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে সেই কাজগুলিকে আদালতের অবমাননা বলে গৃহীত হয়।
• 129 ধারা অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট এবং 125 ধারা অনুযায়ী হাইকোর্ট, নিজের বা অধস্তন আদালতের অবমাননার জন্য শাস্তি প্রদান করতে পারে।

সুপ্রিমকোর্টের এক্তিয়ার

সুপ্রিমকোর্টের কার্যাবলীর এলাকা এবং ক্ষমতাকে নিম্নলিখিত ভাগে ভাগ করা যায় –
1. মূল এলাকাভুক্ত ক্ষমতা (Original Jurisdiction)
2. লেখ জারি করার ক্ষমতা (Writ Jurisdiction)
3. অ্যাপিল এলাকাভুক্ত ক্ষমতা (Appellate Jurisdiction)
4. পরামর্শদানের এলাকাভুক্ত ক্ষমতা (Advisory Jurisdiction)
5. পুনর্বিবেচনা এলাকাভুক্ত ক্ষমতা (Revisory Jurisdiction)
6. বিচারবিভাগীয় পর্যালােচনার ক্ষমতা (Power of Judicial Review)
7. অন্যান্য ক্ষমতা

মূল এলাকাভুক্ত ক্ষমতা (Original Jurisdiction) :

সুপ্রিম কোর্ট নিষ্পত্তি করে-

1. কেন্দ্র এবং এক বা একাধিক রাজ্য সরকারের মধ্যে বিরােধ বাঁধলে।
2. কেন্দ্র সরকার এবং এক বা একাধিক রাজ্য সরকারের সঙ্গে অন্য এক বা একাধিক রাজ্য সরকারের বিরােধ বাঁধলে।
3. দুই বা ততােধিক রাজ্য সরকারের মধ্যে বিরােধ বাঁধলে এইসব ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টই চূড়ান্ত রায়দানের অধিকারী। মূল এলাকার অর্থ হল এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট কোন আপিল ছাড়াই সরাসরি নিষ্পত্তি করতে পারে।

লেখ জারি করার ক্ষমতা (Writ Jurisdiction) (32 নং ধারা) :

• সুপ্রিম কোর্ট ছাড়াও 226 নং ধারা অনুযায়ী হাইকোর্ট লেখ জারি করতে পারে।
• শুধুমাত্র মৌলিক অধিকারগুলিকে কার্যকর করার জন্যই সুপ্রিম কোর্ট লেখ জারি করতে পারে

আপিলভুক্ত (Appellate Jurisdiction) এলাকা :

• সুপ্রিম কোর্ট হল দেশের সর্বোচ্চ আপিল আদালত। নিম্নতর আদালতের প্রদত্ত রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা
যায়। আপিলভুক্ত এলাকাকে নিম্নলিখিত ভাগে ভাগ করা হয়-
1. সংবিধানের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত আপিল (32 ধারা)।
2. দেওয়ানি আপিল (133 ধারা)।
3, ফৌজদারী আপিল (134 ধারা)
4. বিশেষ অনুমতির মাধ্যমে আপিল (136 ধারা)

পরামর্শদানের এলাকা (Advisory Jurisdiction) :

143 ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাইতে পারেন। পূর্ণবিবেচনা এলাকা (Revisory Jurisdiction) :
• সুপ্রিমকোর্ট বিভিন্ন মামলায় নিজের দেওয়া যে কোন রায় বা আদেশ পুনর্বিবেচনা করতে পারে। এর মাধ্যমে রায়দান কালে অতীতের ত্রুটি সংশােধন করা হয়।
• “সুপ্রিম কোর্ট শীর্ষ হলেও অভ্রান্ত নয়” “Supreme Court is supreme but not infallible”

 বিচারবিভাগীয় পর্যালােচনা (Judicial Review) :

• এই ক্ষমতা বলে কেন্দ্র বা কোন রাজ্য সরকারের প্রণীত যে কোন আইন বা শাসনতান্ত্রিক নির্দেশের সাংবিধানিক বৈধতা সুপ্রিমকোর্ট বিচার করতে পারে।
• Judicial Review কথাটি সংবিধানে উল্লেখিতনা হলেও বিবিধ ধারাতে প্রচ্ছন্নভাবে সুপ্রিম কোর্টের ওপর বিচারবিভাগীয় পর্যালােচনার ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে।
• নিম্নলিখিত কারণে এই পর্যালােচনার প্রয়ােজন রয়েছে—
• সংবিধানের একক গুরুত্ব বজায় রাখার জন্য।
• যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামাে বজায় রাখার জন্য।
• নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য।

বিভিন্ন কেস, যেখানে Judicial Review ব্যবহৃত
হয়েছে—গােলকনাথ কেস (1967), ব্যাঙ্ক জাতীয়করণ কেস(1970), প্রিভি পার্সবর্জনের কেস(1971), কেশবানন্দ ভারতী কেন্স (1973), ইত্যাদি।

অন্যান্য ক্ষমতা

1. রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতির নির্বাচন সংক্রান্ত বিরােধ নিষ্পত্তির ক্ষমতা শুধুমাত্র সুপ্রিমকোর্টের রয়েছে।
2. সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সকল আদালতে মান্য (141 ধারা)।
3. সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের চূড়ান্ত ব্যাখ্যাকারী (Interpreter of Constitution)

হাইকোর্ট (214-231 ধারা)

• ষষ্ঠ অধ্যায়ে (Part-VI) 214 – 231 ধারার মধ্যে হাইকোর্টের বিষয়টি লিখিত রয়েছে।
• সংবিধানে প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে একটি হাইকোর্টের স্থাপনের কথা বলা হয়েছে। (214 ধারা)
• যদিও সপ্তম সংবিধান সংশােধনীতে (1956) পার্লামেন্টকে একাধিক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য একটি হাইকোর্ট স্থাপনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
• বর্তমানে মােট 25 টি হাইকোর্ট রয়েছে। তেলেঙ্গানা
হাইকোট 25 তম।
• সংবিধানে হাইকোর্টের বিচারপতির সংখ্যা নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু বলা নেই। কাজের পরিমাণের ওপর নির্ভর করে রাষ্ট্রপতি এই সংখ্যা স্থির করেন। প্রতিটি হাইকোর্টের একজন শীর্ষ বিচারপতি রয়েছেন।

 নিয়ােগ :

• শীর্ষ বিচারপতির নিয়ােগ- রাষ্ট্রপতি, সুপ্রিম কোর্টের শীর্ষ বিচারপতি এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যের / রাজ্যসমূহের রাজ্যপাল বা রাজ্যপালদের সাথে আলােচনা করে হাইকোর্টের শীর্ষ বিচারপতিকে নিয়ােগ করেন।
• অন্যান্য বিচারপতিদের নিয়ােগ – এক্ষেত্রে হাইকোর্টের শীর্ষ বিচারপতির সাথে ও পরামর্শ করা হয়।

 যােগ্যতা :

1. ভারতবর্ষের নাগরিক হতে হবে।
2. ভারতের যেকোনাে অঞ্চলে বিচারবিভাগীয় অফিসে 10 বছর পদে থাকতে হবে।
3. যেকোনাে হাইকোর্টে অন্তত 10 বছর টানা অ্যাডভােকেট হিসেবে কাজ করতে হবে।এক্ষেত্রে হাইকোর্টে বিচারপতিদের কোন ন্যূনতম বয়সসীমা উল্লেখ করা নেই।

কার্যকাল :

• 62 বছর বয়স পর্যন্ত পদে আসীন থাকা যায়।
• পদত্যাগ পত্রে রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করা হয়।
• পালামেন্টের সুপারিশে বিচারপতিদের অপসারণ করা যায়।
• সুপ্রিম কোর্ট বা অন্য কোন হাইকোর্টের বিচারক হিসেবে নিযুক্তহলে বর্তমান পদটি খালি হয়ে যায়।

অপসারণ :

• সুপ্রিমকোর্টের বিচারকদের মতনই একই প্রক্রিয়ায় হাইকোর্টের বিচারকদের পদচ্যুত করা যায়।

বেতন ও ভাতা :

• শীর্ষ বিচারপতির মাসিক বেতন- 2.5 লাখ টাকা। বিচারপতিদের মাসিক বেতন–2.25 লাখ টাকা।

নিরপেক্ষতার সুযােগ :

• একজন হাইকোর্টের বিচারপতি, অবসর গ্রহণের পর শুধুমাত্র সুপ্রিমকোর্টে বিচারপতি হিসেবে এবং অন্য কোন আদালতে বিচারপতির কাজ ছাড়া অন্যান্য কাজে নিযুক্ত থাকতে পারেন।
• হাইকোর্টের বিচারপতিদের বেতন, ভাতা ইত্যাদি রাজ্যের কনসলিডেটেড তহবিল থেকে দেওয়া হলেও তাঁদেরপেনশন, ভারতের কনসলিডেটেড – তহবিল থেকে দেওয়া হয়।

অ্যাক্টিং (Acting) বিচারপতি ও অতিরিক্ত (Additional) বিচারপতি :

• সাময়িক ভাবে শূন্যপদ পূরণ করেন অ্যাক্টিং বিচারপতি
• জমে থাকা কার্যাবলী সম্পূর্ণ করার জন্য অতিরিক্ত বিচারপতিনিযুক্ত হন।
• সঠিক যােগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের রাষ্ট্রপতি অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়ােগ করতে পারেন। (সর্বাধিক 2 বছরের জন্য)

এক্তিয়ার (Jurisdiction)

বর্তমানে হাইকোর্টের কাজের এক্তিয়ার হল—
1. মূল এলাকা (Original Jurisdiction) – কোন নিম্নতর আদালত এই কেস নিতে পারবে না।
2. লেখ জারি করার এলাকা (Writ Jurisdiction) (226ধারা)
3. আপিলভুক্ত এলাকা (Appellate Jurisdiction)
4. পরামর্শদানের এলাকা (Advisory Jurisdiction)
5. নথি রেকর্ডের এলাকা (Court of Record)
6. বিচারবিভাগীয় পর্যবেক্ষণের ক্ষমতা হাইকোর্টের লেখজারি করার ক্ষমতা, সুপ্রিমকোর্টের চেয়েঅনেক বেশী ব্যাপক।

বিচারপতিদের বদলিকরণ (222 ধারা)

• রাষ্ট্রপতি হাইকোর্টের বিচারপতিদের বদলি করাতে পারেন।
•1993 সাল পর্যন্ত এই বদলির কাজটি রাষ্ট্রপতি নিজের ইচ্ছানুযায়ী করতেন এবং শীর্ষ বিচারপতির সুপ্রিম কোর্ট পরামর্শ গ্রহণ বাধ্যতামূলক ছিল না।
•1993 র রায়ে বলা হয় শীর্ষ বিচারপতির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত এবং শুধুমাত্র শীর্ষ বিচারপতিই বদলিকরণের কার্য শুরু করতে পারেন।
•হাইকোর্ট থেকে হাইকোর্টে বিচারপতিদের বদলি শীর্ষ বিচারপতির সম্মতি সহকারে হয়।

ক্রমিক সংখ্যা আদালতের নাম বিচারব্যবস্থা আসন
১. এলাহাবাদ উত্তর প্রদেশ প্রয়াগরাজ
২. মাদ্রাজ তামিলনাড়ু, পুড়ুচেরী চেন্নাই
৩. ছত্তিশগড় ছত্তিশগড় বিলাসপুর
৪. দিল্লী জাতীয় রাজধানীঅঞ্চল, দিল্লী। নিউ দিল্লী
৫. গুয়াহাটি অরুণাচল প্রদেশ,আসাম, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড গুয়াহাটি
গুজরাট গুজরাট আমেদাবাদ
৭. অন্ধ্রপ্রদেশ (স্থাপিত 2019 সালের 1লা জানুয়ারী) অন্ধ্রপ্রদেশ। অমরাবতী
৮. হিমাচল প্রদেশ হিমাচল প্রদেশ শিমলা
জম্মু ও কাশীর জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ শ্রীনগর/জম্মু
১০ ঝাড়খণ্ড ঝাড়খণ্ড রাঁচি
১১. কর্ণাটক কর্ণাটক বেঙ্গালুরু
১২. কেরেলা কেরালা, লক্ষ্মাদ্বীপ কোচি
১৩. কলকাতা আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং পশ্চিমবঙ্গ কলকাতা
১৪. মধ্যপ্রদেশ মধ্যপ্রদেশ জাবালপুর
১৫. মণিপুর মণিপুর ইম্ফল
১৬. মেঘালয় মেঘালয় শিলং
১৭. বম্বে গােয়া, দাদরা ও নগর হাভেলি ও দমন ও দিউ এবং মহারাষ্ট্র মুম্বাই
১৮. উড়িষ্যা উড়িষ্যা কটক
১৯ পাটনা বিহার পাটনা
২০. পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট চণ্ডিগড়, হরিয়ানা,পাঞ্জাব চণ্ডিগড়
২১. সিকিম সিকিম গ্যাংটক
২২. রাজস্থান রাজস্থান যােধপুর
২৩. ত্রিপুরা ত্রিপুরা আগরতলা
২৪. উত্তরাখণ্ড উত্তরাখণ্ড নৈনিতাল
২৫. তেলেঙ্গানা (স্থাপিত 2019 সালের 1লা জানুয়ারী) তেলেঙ্গানা হায়দ্রাবাদ

একটিমাত্র হাইকোর্ট সম্বলিত রাজ্য সমূহ-

1. অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, আসাম—
গুয়াহাটি হাইকোর্ট
2. গােয়া, মহারাষ্ট্র, দাদরা ও নগর হাভেলি ও দমন ও দিউ—
বম্বে হাইকোর্ট
3. পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও চণ্ডিগড়—পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট
4. আন্দামান ও নিকোবর এবং পশ্চিমবঙ্গ কলকাতা হাইকার্ট
5. পুড়চেরী ও তামিলনাড়ু-মাদ্রাজ হাইকোর্ট
6. লাক্ষাদ্বীপ ও কেরালাকেরালা হাইকোর্ট
7. দিল্লী হাইকোর্ট হল একমাত্র একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের হাইকোর্ট
8. জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ-জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্ট পূর্বে গুয়াহাটি হাইকোর্টের সাথে যুক্ত থাকলেও বর্তমানে স্বতন্ত্র হাইকোর্ট রয়েছে- ত্রিপুরা, মেঘালয় ও মণিপুর।

ফ্যামিলি কোর্ট

• Family Court Act, 1994 র অনুযায়ী রাজ্য সরকার
family আদালত স্থাপন করতে পারে।
• এরুপ আদালতের মুখ্য উদ্দেশ্য হল বিবাহ ও পরিবার সম্পর্কিত বিবাদের মধ্যস্থতা করা এবং শীঘ্র নিষ্পত্তি করা।

লোক আদালত

•লােক আদালতে মানুষকে বুঝিয়ে ও আপসের মাধ্যমে বিবাদ নিষ্পত্তি করা হয়। (i.e., through Conciliation)
•এই আদালতের সভাপতি কোন বর্তমান বা অবসর প্রাপ্তবিচারবিভাগীয় অফিসার হন এবং আরও দুজন সদস্য থাকেন এরা একজন উকিল ও আরেকজন সমাজকর্মী হন।
• এখানে কোন Court Fee নেওয়া হয় না। মূল শর্তই হল বিবাদমান দুই পক্ষকে নিষ্পত্তির জন্য একমত হতে হবে।
• এই আদালতে অন্যান্য – আদালতে জমে থাকা ওই কেসগুলি নেওয়া হয়, যেগুলি লােক আদালতের এক্তিয়ারে পড়ে।
• যদি কোন কেস আগে থেকেই নিয়মিত আদালতে নথিভুক্ত করা হয়, এবং তারপর কেসটির নিষ্পত্তি লােক আদালতে হয়ে যায়, তবে নিয়মিত আদালতের পারিশ্রমিকের টাকা ফেরত দেওয়া হয়।
•লােক আদালত দ্রুত বিচারকার্য সম্পন্ন করে।
•লােক আদালতকে দেওয়ানী আদালতের মর্যাদা দেওয়া হয়।এই আদালতের সিদ্ধান্ত দুই পক্ষের কাছে মান্য হবে। লােক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা যায় না।

• অর্থ সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তির জন্য লােক আদালত খুবই কার্যকরী। এছাড়া পার্টিশন স্যুট, বিবাহ সংক্রান্ত মামলাও এখানে নিষ্পত্তি হয়।

“গুরুকুল ফান্ডা সমস্ত ছাত্র ছাত্রী দের সফলতার পথ দেখাতা চাই । তাই সকল ছাত্র ছাত্রীর কাছে এই পোস্ট টি নীচে দেওয়া শেয়ার বোতাম এ গিয়ে সকল কে ফেসবুক ও হোয়াটস অ্যাপ এ শেয়ার করুন “

ধান্যাবাদ

সংবিধান এর সমস্ত পোস্ট গুলি  মেনুতে Indian Constitution  এ ক্লিক করুন ।

Advertisements

Leave a Comment

Advertisements
Button
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now