Fundamental Rights ( মৌলিক অধিকার)
1. মৌলিক অধিকার বলতে কী বােঝায়?
Ans. নাগরিকগণের ব্যক্তিত্ব বিকাশের পক্ষে অপরিহার্য কতকগুলি অধিকার পৃথিবীর প্রায় সব রাষ্ট্রেই স্বীকৃত হয়েছে। জীবনের অধিকার, স্বাধীনতার অধিকার প্রভৃতি এই শ্রেণীর অধিকারের পর্যায়ভুক্ত। এই অধিকারগুলিকে মৌলিক অধিকার (Fundamental Rights) বলে অভিহিত করা হয়। মৌলিক অধিকার হল রাষ্ট্র ও ব্যক্তির মধ্যে সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে আইনগতভাবে বলবৎ যােগ্য অধিকার।
2. ভারতীয় সংবিধানে উল্লিখিত মৌলিক অধিকারের (Fundamental Rights) বৈশিষ্ট্যগুলি লেখ।
Ans. ভারতীয় সংবিধানে বর্ণিত মৌলিক অধিকার বিশ্লেষণ করলে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়। এইগুলি হল :
(a) স্বাভাবিক সময়ে মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন হলে তার প্রতিকারের জন্য নাগরিক আদালতের শরণাপন্ন হতে পারে।
(b) মৌলিক অধিকারগুলি অবাধ বা নিরঙ্কুশ নয়।
(c) মৌলিক অধিকারগুলির ওপর বাধানিষেধ আরােপ করার যে ক্ষমতা রাষ্ট্রের ওপর অর্পিত হয়েছে তা বিশেষ ব্যাপক ও সুদূরপ্রসারী।
3. ভারতীয় সংবিধানভুক্ত অধিকারগুলিকে কটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে?
Ans. ভারতীয় সংবিধানভুক্ত অধিকারগুলিকে দুটি শ্রেণীতেবিভক্ত করা হয়েছে। (a) মৌলিক অধিকার (Fundamental Rights) এবং (b) রাষ্ট্র পরিচালনার নির্দেশমূলক নীতি (Directive Principles of State Policy)। এই দুই শ্রেণীর মধ্যে মূল পার্থক্য হল যে, মৌলিক অধিকারগুলি আদালত কর্তৃক বলবৎযােগ্য, কিন্তু নির্দেশমূলক নীতিগুলিকে বলবৎ করার ক্ষমতা আদালতের নেই।
4. অধিকার সংরক্ষণের পদ্ধতিগুলি কি কি?
Ans. স্বাধীনতা ও অধিকার সংরক্ষণের জন্য সাধারণত যেসব পন্থা নির্দেশ করা হয় তার মধ্যে আছে আইনের অনুশাসন,ক্ষমতা-স্বতন্ত্রীকরণ ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, সংবিধানে অধিকারের ঘােষণা ইত্যাদি।
5. ভারতীয় সংবিধানে বর্ণিত মৌলিক অধিকারগুলি কত প্রকার?
Ans. ভারতীয় সংবিধানের তৃতীয় পরিচ্ছেদে (Part-III)মৌলিক অধিকারগুলি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এই অধিকারগুলি কে ছটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে। যথা—(১) সাম্যের অধিকার,(২) স্বাধীনতার অধিকার, (৩) শােষণের বিরুদ্ধে অধিকার(৪)ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার, (৫) সংস্কৃতি ও শিক্ষা বিষয়ক অধিকার এবং (৬) শাসনতান্ত্রিক প্রতিবিধানের অধিকার।
6.ভারতীয় সংবিধানে কেন মৌলিক অধিকার প্রদত্ত হয়েছে?
Ans. সংবিধানে মৌলিক অধিকার ঘােষণা করার কয়েকটি কারণ হল-(১) সংবিধানে অধিকার লিপিবদ্ধ থাকলে জনগণও জানতে পারে তাদের অধিকার কি কি এবং আর এইসব অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকে। (২) নাগরিকদের মৌলিক অধিকারগুলি সংবিধানে লিপিবদ্ধ করলে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে সার্থক করে তােলার পথ সুগম হয়। (৩) সংবিধানে অধিকার লিপিবদ্ধ না থাকলে এইসব অধিকার আইন ও শাসনবিভাগ দ্বারা ক্ষুন্ন হতে পারে।
7. কেন কিছু সংখ্যক অধিকারকে মৌলিক অধিকার বলা হয় ?
Ans. বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় সব গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক যে সব অধিকার ভােগ করে তার মধ্যে কতকগুলিকে মৌলিক অধিকার বলা হয়। এই অধিকারগুলিকে মৌলিক অধিকার বলা
হয় কারণ, এই অধিকার মানুষের ব্যক্তিত্ব বিকাশের পক্ষে অপরিহার্য। এগুলি ছাড়া ব্যক্তির পক্ষে ব্যক্তিত্বের স্ফুরণ করা, তার সুপ্ত সম্ভাবনাকে বিকশিত করে তােলা সম্ভব নয়। মৌলিক অধিকারগুলি আদালতে বলবৎযােগ্য।
8. তুমি কি মনে কর মৌলিক অধিকারগুলি অবাধ?
Ans. ভারতীয় সংবিধানে উল্লিখিত মৌলিক অধিকারগুলি অবাধ বা নিরঙ্কুশ নয়। প্রকৃতপক্ষে, কোনাে অধিকারই অবাধ ও নিয়ন্ত্রণমুক্ত হতে পারে না, কারণ অধিকার অবাধ হলে সামাজিক
জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সকলে যাতে সমানভাবে অধিকারগুলি ভােগ করতে পারে সেইজন্য অধিকারের ওপর রাষ্ট্র যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ আরােপ করে থাকে।
9. ভারতীয় সংবিধানের ১৪নং ধারা/অনুচ্ছেদটি লেখ।
Ans. ভারতীয় সংবিধানের ১৪নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে,“ভারতের ভূখণ্ডের মধ্যে কোনাে ব্যক্তিকে রাষ্ট্র আইনের দৃষ্টিতে সাম্য অথবা আইনসমূহ দ্বারা সমানভাবে সংরক্ষিত হবার অধিকার
থেকে বঞ্চিত করবে না।” এই অনুচ্ছেদে উল্লিখিত অধিকার দুটি হল—আইনের দৃষ্টিতে সমতার অধিকার এবং আইনসমূহের দ্বারা সমানভাবে সংরক্ষিত হবার অধিকার।
মৌলিক অধিকারের প্রতিটি বিষয়কে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বর্ণনা করা হয়েছে আরো পড়তে বা জানতে প্রত্যেকটি হেডলাইন এর উপরে ক্লিক করুন
Daily Current Affairs ও আরো study materials পেতে নিচে আমাদের ফেসবুক ও টেলিগ্রাম এ যুক্ত হন